অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ থেকে গাজীপুরগামী পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি তেল বহনকারী জাহাজ থেকে ৩৬০ মেট্রিকটন ফার্নেস ওয়েল ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৮ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইসমাইল বেপারি, মো. আমজাদ হোসেন তপু, মো. ফেরদৌস ফরাজী, মো. রিয়াজ হোসেন, মো. সুমন মিয়া, মো. ইউসুফ মিয়া, মো. অনিক মিয়া এবং মো. রানা।
সেসময় তেল লুটে ব্যবহৃত এমভি ভূইয়া নামে একটি বাল্ক হেড, তেল আনলোড করার স্যালো মেশিনের দুটি পাইপ ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশান পুলিশ প্লাজায় বাহিনীর সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরপরই নৌ-পথকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন ডাকাত গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠে। নৌ-পথে ডাকাতি, দস্যুতা রোধে নৌ-পুলিশ নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নৌ-পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
নৌ-পুলিশের ডিআইজি মিজান বলেন, গত ১০ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনগঞ্জ সামিট গ্রুপের ঘাট থেকে ওটি বিন জামান-১ নামের ওয়েল ট্যাঙ্কার আনুমানিক তিন কোটি টাকা মূল্যের ৩৬০ মেট্রিকটন ফার্নেস ওয়েল নিয়ে গাজীপুর কড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের উদ্দেশে যাত্রা করে।
সংবাদ সম্মেলনে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জাহাজটি মুন্সীগঞ্জ সদর থানার চর মুক্তারপুর শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন শীতলক্ষা নদীর মোহনায় পৌঁছালে জাহাজের স্টাফদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় জাহাজটি থেকে প্রায় ৩৫০ টন তেল অন্য আরেকটি জাহাজে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার চর সলিমাবাদ ভূতের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে লুট করা তেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় তেল লুটে ব্যবহৃত জাহাজসহ অস্ত্র ও নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে, নিরাপদ নৌ-পথ নিশ্চিত করণসহ নৌ-পথে যে কোনো প্রয়োজনে নৌ-পুলিশের সহযোগিতা গ্রহণের জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Leave a Reply